১২ জুন অহমদাবাদ বিমানবন্দর থেকে ওড়ার কিছু ক্ষণ পরেই মেঘানিনগরে লোকালয়ে ভেঙে পড়ে এয়ার ইন্ডিয়ার বোয়িং ৭৮৭-৮ বিমানটি। প্রাণ গিয়েছিল ২৬০ জনের। তাঁদের মধ্যে ২৪১ জন সওয়ার ছিলেন বিমানে। দুর্ঘটনাস্থল থেকে ‘এনহ্যান্সড এয়ারবর্ন ফ্লাইট রেকর্ডারস’ (ইএএফআর) উদ্ধার করে এএআইবি। তারাই তদন্ত করছে দুর্ঘটনার। এই ইএএফআর ব্ল্যাক বক্স বলেই বেশি পরিচিত। ২৪ জুন সেই দু’টিকে দিল্লিতে নিয়ে আসা হয়। সেগুলি থেকে তথ্য উদ্ধার করতে সাহায্য করেছে আমেরিকা থেকে আনা ‘গোল্ডেন শ্যাসি’।
এই ‘গোল্ডেন শ্যাসি’ কী? দুর্ঘটনায় যখন ব্ল্যাক বক্স ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তখন তা থেকে তথ্য উদ্ধারের জন্য এই ‘গোল্ডেন শ্যাসি’-তেই ভরসা করেন তদন্তকারীরা। এটি আসলে একটি রেকর্ডিং ইউনিট। এএআইবি শনিবার জানিয়েছে, তাদের এই ‘গোল্ডেন শ্যাসি’ এবং প্রয়োজনীয় কেবল দিয়েছে আমেরিকার ন্যাশনাল ট্রান্সপোর্টেশন সেফটি বোর্ড (এনটিএসবি)। আমেরিকার এই সরকারি সংস্থা বিমান দুর্ঘটনার তদন্ত করে। নয়াদিল্লিতে এএআইবির গবেষণাগারেই চলেছে দুর্ঘটনাগ্রস্ত বিমানের ব্ল্যাক বক্স তথ্য উদ্ধারের কাজ। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, ব্ল্যাক বক্সের ক্র্যাশ প্রোটেকশন মডিউল (সিপিএম) ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। এই সিপিএমই ব্ল্যাকবক্সকে দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা করে।
সূত্রঃ আনন্দবাজার পত্রিকা
মন্তব্য করুন